ঋষি কাপুরকে মারতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়!

বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘সঞ্জু’। নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে রণবীর কাপুর পা গলিয়েছেন সঞ্জয় দত্তের জুতায়। সঞ্জয় দত্তের জীবন কাহিনীতে রণবীরের অসামান্য অভিনয় জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের মনে। এক কথায়, সঞ্জয় দত্তের চরিত্রের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন ঋষি-পুত্র। কিন্তু এক সময়ে সঞ্জয় দত্তের হাতে মার খেতে খেতে বেঁচেছিলেন রণবীরের বাবা ঋষি কাপুর।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই ঘটনা সামনে এসেছে। ৮০-র দশকে একবার সঞ্জয় দত্ত ঋষি কাপুরকে মারবেন ঠিক করেছিলেন। তখন সঞ্জুবাবার হাত থেকে ঋষিকে বাঁচিয়েছিলেন ঋষি-জায়া নীতু সিংহ। তখন তাদের বিয়ে হয়নি। অন্য অনেক বিতর্কিত ঘটনার মতো এই ঘটনারও বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই সঞ্জয়ের বায়োপিকে।

১৯৮০-তে ঋষি কাপুরের ‘কর্জ’ মুক্তি পায়। ১৯৮১-তে মুক্তি পায় সঞ্জয়ের ‘রকি’। দুটি ছবিতেই নায়িকা ছিলেন টিনা মুনিম। সেই সময়ে সঞ্জয় আর টিনার প্রেম একেবারে মধ্য গগনে।

কিন্তু সঞ্জয় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। মনে করতে থাকেন হয়তো নীতুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন ঋষি। এই ভেবেই সঞ্জুবাবা একদিন গ্রোভারকে সঙ্গে নিয়ে ঋষিকে মারতে যান। দু’জনেই তখন মদ্যপ ছিলেন। যাওয়ার পথেই দেখা হয়ে যায় নীতু কাপুরের সঙ্গে।

নীতুর অনুরোধেই সবটা খুলে বলেন সঞ্জয় দত্ত। তখন ঋষি কাপুরের হবু স্ত্রী বোঝান তাকে। তিনি বলেন, ঋষি ও টিনা মুনিমের মধ্যে অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। তারা কেবল ভালো বন্ধু। নীতুর বোঝানোতেই মদ্যপ সঞ্জয়ের মাথা তখন ঠান্ডা হয়।

বায়োপিক-এ সঞ্জয় কতটা উওেজিত ছিলেন তা দেখানো হয়েছে। নারীদের শয্যাসঙ্গিনী বানানো যেন তার বাঁ হাতের খেল। কিন্তু তিনি যে একজন নিরাপত্তাহীন প্রেমিকও ছিলেন তার প্রমাণ এই ঘটনা।